Submitter: Name department ragging
Email: name@buet.com
নরমাল র্যাগ
(১৬ব্যাচের এক ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে,ওর কথা গুলোই হুবহু দিলাম এখানে)
সেদিন ছিলো '১২ ব্যাচের নেইম ডে। রাতে মিনার্ভার কনসার্ট ছিলো।
জুনিয়র- মোস্ট হিসেবে ছিলাম আমরা, '১৬ ব্যাচ। এরকম ফেস্টগুলাতে মোস্ট জুনিয়র ব্যাচ সবচেয়ে বেশি কামলা কাজের খাটুনি খাটে এটা সবারই জানা। তাছাড়া নিজেদের ভার্সিটি লাইফের প্রথম প্রোগ্রাম। সবাই সারাদিন কাজ করে টায়ার্ড৷ তাও আমাদের ১৫/২০ জন ছিলাম কনসার্টে। তবে এক্ষেত্রে বলা উচিত না তা-ও বলি, সিনিয়র ভাইয়েরা সব মিলায়ে ১০ জন ও ছিলেন না। অডি পুরো ফাঁকা।
প্রোগ্রাম শেষে খবর পাই আমাদের ১৬ এর সবাইকে রাতে "রশীদের মাজারে" উঠতে হবে। তবে রশীদের পরিবর্তে পরে ঠিক হয় সোহরাওয়ার্দীর ছাদে উঠানো হবে। সবাই আমরা একেক হল থেকে সোহরাওয়ার্দীর গণরুমে জড়ো হই।
সেই রাতে ভার্সিটিতে প্রথমবারের মতো আসা আমাদের সবার কি অবস্থা ছিলো, সে রাতের ভয়াবহতা লিখার ভাষা আমাদের নাই ।
এরপর সবাইকে নির্দেশ দেয়া হয় ৫-৬ জনের ছোটো-ছোটো গ্রুপে করে সোহরাওয়ার্দীর ছাদে উঠতে। উঠার পরেই দেখি ১২ ব্যাচের নাফিজ ইমতিয়াজ ভাই বসে আছে ১৫ ব্যাচের কয়েকজনকে নিয়ে৷ রীতিমতো মারমুখী আচরণ এবং অশ্লীল অসভ্য সব বাবা-মা তুলে গালিগালাজ
তার নির্দেশেই নাকি ওইদিন রাতে '১৬ এর সবাইকে সোহরাওয়ার্দী হলের ছাদে উঠায় '১৫ এর ভায়েরা(যদিও এটা শোনা কথা)
সবাইকে একে লাইন করে দাঁড়ায়ে মোবাইল অফ করায়ে সামনে রাখতে বলে '১৫ এর ভাইরা।
সবার আগে টর্চার শুরু করে নাফিজ ইমতিয়াজ ভাই নিজেই। দুই গালেই থাপ্পর দেয় '১৬ এর শিপন ও রিদুয়ানকে। এবং আইডিয়ালের ছাত্র দেখে ওদের গায়ে হাত তোলা নাকি উনার জাস্টিফাইড।
তারপর একে একে শুরু করে '১৫ ব্যাচের ভাই সবাই।
{(লিখন, দীপ্ত, বন্ধন, জাওয়াদ, তানভীর) ভাই} সবাই শুরু করে গালিগালাজ।
'১৬ এর রাম কে এত জোরে থাপ্পর দেয় বন্ধন ভাই যে ও কানে হাত দিয়ে মাটিতে শুয়ে পরে।
এদিকে লিখন ভাই, দীপ্ত ভাই উনারা ক্রমাগত থাপ্পর দিচ্ছে রিদোয়ান সৌপ্তিক এদের। সবচেয়ে থাপ্পর ওই দিন খায় রিদোয়ান।
দীপ্ত ভাই স্ট্যম্প দিয়ে পিটায় রিদোয়ান কে।
ওর দোষ ছিলো ও হাফ-ওয়াল নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিসিলো। সৌপ্তিককে থাপ্পর দেয় কারণ ও কমেন্ট করসিলো ওই পোস্টে।
এগুলা কেমন ঘৃণ্য কাজ এটা বাদবাকি ব্যাচের ভাইয়াদের বিবেচনা।আপনাদের বিবেকের উপর ছেড়ে দিলাম। আপনারা নিজেদের আমাদের সে জায়গায় বসিয়ে কল্পনা করুন-মাত্র "স্বপ্নের" বুয়েটে আসা ছেলেগুলার মানসিক অবস্থা নিয়ে।
রিদোয়ান, সৌপ্তিক, রামকৃষ্ণ-এদের চড় থাপ্পড় আপনারা শারীরিক ক্ষত দেখে মাপতে পারবেন। কিন্তু আমাদের এতোগুলা ছেলের মনের অবস্থাটা অন্তত বোঝার চেষ্টা করুন।
এর আগের পুরনো ব্যাপার- যেখানে অভিযোগ করা হয় আবরার আর রিদোয়ান বাথরুমে নাচতেসিলো- যেটা দেখে ১৪ এর ভাইয়েরা লজ্জায় মুখ লুকাতে পারতেসে না দেখে ১৫ এর ভাইদের কমপ্লেইন করসেন। এটা বলে আরেক দফা থাপ্পর দেয় লিখন ভাই আর তানভীর ভাই।
রনিকে পিটানো হয় কারণ ও কন্সার্ট এর টাইমে ফেবু তে এক্টিভ ছিলো। এছাড়া লিখন ভাই রনি কে এত জোরে থাপ্পর দেয় রনির কানে লাগলে ওর পর্দা ফেটে যেতো। '১৫
এর সৌমিক চৌধুরী ভাই আর তানভির রহমান ভাই রনিকে মুরগি বানায়ে পুরো হলের ছাদ ঘুরাইসিলো। শেষে রনি মাথা ঘুরায়ে শুয়ে পরে। লিখন ভাই পিটাইসিলো কারণ রনি রিদোয়ান এরা তার কাছে ট্রিট চাইছিলো। এভাবেই আমাদের ট্রিট দিয়েছিলেন আমাদের সিনিয়র ভাইরা।
এছাড়াও প্রিয়,ইসমাইল,তারিকুল সবাই কেই কমবেশি পিটানো হয়।
সবচেয়ে হাস্যকর ব্যাপার- কাকে জানি থাপ্পর দিছিলো ১৫ এর জাওয়াদ জুলকারনাইন ভাই৷ ফল্ট ছিলো জাওয়াদ ভাই ওকে উনার নাম বলতে বলসিলো, ছেলেটা পারে নাই। একজনের নাম জানে না দেখে একটা বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া ছেলের গায়ে হাত তোলা হয়!
প্রিয়কে পুরা সোহরাওয়ার্দী হলের ছাদে দৌড়ানো হয় কারণ সে ক্যাম্পাসে তার প্রেমিকার সাথে কথা বলছিলো!
এছাড়া রনি,সাজন,তকি, রিয়াসাত এদের সবাইকে দিয়ে অশ্লীল অভিনয় করান নিলাদ্রী ভাই। সাথে সরোয়ার জাহান ভাই, ফাহিম মাহমুদ ভাই, উপরে যাদের নাম লেখা সবাই ই ছিলো। বলা হয়, বেশ্যালয়ে যেভাবে একজন বেশ্যা নিজেকে তাদের খদ্দেরের কাছে উপস্থাপন করে সেভাবে আমাদের উপস্থাপন করতে হবে। আমাদের এক দলকে বানানো হয় বেশ্যা আর আরেকদলকে তার খদ্দের। জাস্ট সবাই কিভাবে মেন্টাল ট্রমায় চলে গিয়েছিলো আমরা দেখেছি। নিজেরা কোনোদিন খারাপ শব্দ বা গালিগালাজ করি নাই- এই দাবি কেউই করি না। কিন্তু এ অশ্লীলতার ভাষা আমরা জানতাম না। আমাদের মানসিক হ্যারাসমেন্টের বিচার আজকে আপনাদের সবার কাছে করে গেলাম।
পুরোটা সময় নাফিজ ইমতিয়াজ ভাই "নাটক" উপভোগ করসেন৷ এবং কিভাবে এক আপু নাচার সময় তার শরীরের বিবরণ দিচ্ছিলেন এবং বাকিরা সে আলোচনায় অংশগ্রহণ করছিলেন।
অনেককেই কান ধরে এক-দুই ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিলো।
ফজরের আজান পর্যন্ত চলে এই অত্যাচার।
রনি তার বোনের সাথে থাকে৷ নাফিজ ইমতিয়াজ ভাই রনির আপু-দুলাভাই কে নিয়েও বাজে মন্তব্য করছিলেন।
এনারাই আবার পোস্ট দিচ্ছে এখন আবরার হত্যা নিয়ে।
অনেক প্রিয় ভাই ছিলো ওইদিন ওখানে- সবাই দেখলো কেউ কিছু বললো না।
তারাও সমান অপরাধী জুনিয়র দের কাছে। আর নাফিজ ইমতিয়াজ ভাইয়ের কথা বাদ- ই দিলাম।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
১. উপরে নাম লেখা সবার সাথেই আমাদের কথা হয়। অনেকেই হয়তো মজার জন্যেই অথবা পরিস্থিতির চাপে উক্ত ঘটনায় অংশ নিয়েছেন৷ কারো উপরেই আমাদের ক্ষোভ নাই। শুধুমাত্র সে রাতের কথা আমার মনে হয় এসময় সবার জানার অধিকার আছে-একারণেই জানানো। কারণ এরকম দুঃসময়ে পুরনো পাপে অংশ নেয়া কেউ যেনো নিজেদের সাধু দেখাতে না পারে।
২. আর ১৭ এর কারো যদি মনে ১৬ এর করা কোন কাজ নিয়ে নিজেদের মনে কষ্ট থেকে থাকে, ফিল ফ্রি টু শেয়ার। তবে একটা কথা দাবি নিয়ে বলতে পারি, জুনিয়র পেটানোর মত হীন চিন্তা করি নাই, হতে দেইও নাই। প্রশ্ন থাকতে পারে কেন এসব এখন বলা হচ্ছে। ব্যাচের পর ব্যাচ সিনিয়র জুনিয়র বন্ডিং তৈরির নামে যে র্যাগের কালচার তৈরি করা হয়েছে, জুনিয়রদের পেটানো, ভরা ক্লাশ রুমে গালাগালি করে সো কল্ড "ম্যানার" শেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, জুনিয়রদের বলছি, ট্রাস্ট আস, এসবে আসলে দূরত্ব তৈরি হয় শুধু। ওইদিনের রাতের ঘটনার জন্যে ব্যাচের অনেকেই আমাদের সিনিয়রদের জাজ করি। সিনিয়র এর কোন কাজে জুনিয়রদের লাইফে যখন পজিটিভ ইম্পেক্ট
নির্যাতনকারীদের ফেবু লিংকঃ
https://www.facebook.com/dhumketuzd1https://www.facebook.com/sanjeeb.h.deptohttps://www.facebook.com/tanvir.rahman.92754397https://www.facebook.com/likhon042https://www.facebook.com/profile.php?id=100011947176490https://www.facebook.com/sowmik40https://www.facebook.com/jawaad.zulqerninehttps://www.facebook.com/saroar043
Submitter: Name department ragging Email: name@buet.com
নরমাল র্যাগ
(১৬ব্যাচের এক ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে,ওর কথা গুলোই হুবহু দিলাম এখানে) সেদিন ছিলো '১২ ব্যাচের নেইম ডে। রাতে মিনার্ভার কনসার্ট ছিলো। জুনিয়র- মোস্ট হিসেবে ছিলাম আমরা, '১৬ ব্যাচ। এরকম ফেস্টগুলাতে মোস্ট জুনিয়র ব্যাচ সবচেয়ে বেশি কামলা কাজের খাটুনি খাটে এটা সবারই জানা। তাছাড়া নিজেদের ভার্সিটি লাইফের প্রথম প্রোগ্রাম। সবাই সারাদিন কাজ করে টায়ার্ড৷ তাও আমাদের ১৫/২০ জন ছিলাম কনসার্টে। তবে এক্ষেত্রে বলা উচিত না তা-ও বলি, সিনিয়র ভাইয়েরা সব মিলায়ে ১০ জন ও ছিলেন না। অডি পুরো ফাঁকা। প্রোগ্রাম শেষে খবর পাই আমাদের ১৬ এর সবাইকে রাতে "রশীদের মাজারে" উঠতে হবে। তবে রশীদের পরিবর্তে পরে ঠিক হয় সোহরাওয়ার্দীর ছাদে উঠানো হবে। সবাই আমরা একেক হল থেকে সোহরাওয়ার্দীর গণরুমে জড়ো হই। সেই রাতে ভার্সিটিতে প্রথমবারের মতো আসা আমাদের সবার কি অবস্থা ছিলো, সে রাতের ভয়াবহতা লিখার ভাষা আমাদের নাই । এরপর সবাইকে নির্দেশ দেয়া হয় ৫-৬ জনের ছোটো-ছোটো গ্রুপে করে সোহরাওয়ার্দীর ছাদে উঠতে। উঠার পরেই দেখি ১২ ব্যাচের নাফিজ ইমতিয়াজ ভাই বসে আছে ১৫ ব্যাচের কয়েকজনকে নিয়ে৷ রীতিমতো মারমুখী আচরণ এবং অশ্লীল অসভ্য সব বাবা-মা তুলে গালিগালাজ তার নির্দেশেই নাকি ওইদিন রাতে '১৬ এর সবাইকে সোহরাওয়ার্দী হলের ছাদে উঠায় '১৫ এর ভায়েরা(যদিও এটা শোনা কথা) সবাইকে একে লাইন করে দাঁড়ায়ে মোবাইল অফ করায়ে সামনে রাখতে বলে '১৫ এর ভাইরা। সবার আগে টর্চার শুরু করে নাফিজ ইমতিয়াজ ভাই নিজেই। দুই গালেই থাপ্পর দেয় '১৬ এর শিপন ও রিদুয়ানকে। এবং আইডিয়ালের ছাত্র দেখে ওদের গায়ে হাত তোলা নাকি উনার জাস্টিফাইড। তারপর একে একে শুরু করে '১৫ ব্যাচের ভাই সবাই। {(লিখন, দীপ্ত, বন্ধন, জাওয়াদ, তানভীর) ভাই} সবাই শুরু করে গালিগালাজ। '১৬ এর রাম কে এত জোরে থাপ্পর দেয় বন্ধন ভাই যে ও কানে হাত দিয়ে মাটিতে শুয়ে পরে। এদিকে লিখন ভাই, দীপ্ত ভাই উনারা ক্রমাগত থাপ্পর দিচ্ছে রিদোয়ান সৌপ্তিক এদের। সবচেয়ে থাপ্পর ওই দিন খায় রিদোয়ান। দীপ্ত ভাই স্ট্যম্প দিয়ে পিটায় রিদোয়ান কে। ওর দোষ ছিলো ও হাফ-ওয়াল নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিসিলো। সৌপ্তিককে থাপ্পর দেয় কারণ ও কমেন্ট করসিলো ওই পোস্টে। এগুলা কেমন ঘৃণ্য কাজ এটা বাদবাকি ব্যাচের ভাইয়াদের বিবেচনা।আপনাদের বিবেকের উপর ছেড়ে দিলাম। আপনারা নিজেদের আমাদের সে জায়গায় বসিয়ে কল্পনা করুন-মাত্র "স্বপ্নের" বুয়েটে আসা ছেলেগুলার মানসিক অবস্থা নিয়ে। রিদোয়ান, সৌপ্তিক, রামকৃষ্ণ-এদের চড় থাপ্পড় আপনারা শারীরিক ক্ষত দেখে মাপতে পারবেন। কিন্তু আমাদের এতোগুলা ছেলের মনের অবস্থাটা অন্তত বোঝার চেষ্টা করুন। এর আগের পুরনো ব্যাপার- যেখানে অভিযোগ করা হয় আবরার আর রিদোয়ান বাথরুমে নাচতেসিলো- যেটা দেখে ১৪ এর ভাইয়েরা লজ্জায় মুখ লুকাতে পারতেসে না দেখে ১৫ এর ভাইদের কমপ্লেইন করসেন। এটা বলে আরেক দফা থাপ্পর দেয় লিখন ভাই আর তানভীর ভাই। রনিকে পিটানো হয় কারণ ও কন্সার্ট এর টাইমে ফেবু তে এক্টিভ ছিলো। এছাড়া লিখন ভাই রনি কে এত জোরে থাপ্পর দেয় রনির কানে লাগলে ওর পর্দা ফেটে যেতো। '১৫ এর সৌমিক চৌধুরী ভাই আর তানভির রহমান ভাই রনিকে মুরগি বানায়ে পুরো হলের ছাদ ঘুরাইসিলো। শেষে রনি মাথা ঘুরায়ে শুয়ে পরে। লিখন ভাই পিটাইসিলো কারণ রনি রিদোয়ান এরা তার কাছে ট্রিট চাইছিলো। এভাবেই আমাদের ট্রিট দিয়েছিলেন আমাদের সিনিয়র ভাইরা। এছাড়াও প্রিয়,ইসমাইল,তারিকুল সবাই কেই কমবেশি পিটানো হয়। সবচেয়ে হাস্যকর ব্যাপার- কাকে জানি থাপ্পর দিছিলো ১৫ এর জাওয়াদ জুলকারনাইন ভাই৷ ফল্ট ছিলো জাওয়াদ ভাই ওকে উনার নাম বলতে বলসিলো, ছেলেটা পারে নাই। একজনের নাম জানে না দেখে একটা বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া ছেলের গায়ে হাত তোলা হয়! প্রিয়কে পুরা সোহরাওয়ার্দী হলের ছাদে দৌড়ানো হয় কারণ সে ক্যাম্পাসে তার প্রেমিকার সাথে কথা বলছিলো! এছাড়া রনি,সাজন,তকি, রিয়াসাত এদের সবাইকে দিয়ে অশ্লীল অভিনয় করান নিলাদ্রী ভাই। সাথে সরোয়ার জাহান ভাই, ফাহিম মাহমুদ ভাই, উপরে যাদের নাম লেখা সবাই ই ছিলো। বলা হয়, বেশ্যালয়ে যেভাবে একজন বেশ্যা নিজেকে তাদের খদ্দেরের কাছে উপস্থাপন করে সেভাবে আমাদের উপস্থাপন করতে হবে। আমাদের এক দলকে বানানো হয় বেশ্যা আর আরেকদলকে তার খদ্দের। জাস্ট সবাই কিভাবে মেন্টাল ট্রমায় চলে গিয়েছিলো আমরা দেখেছি। নিজেরা কোনোদিন খারাপ শব্দ বা গালিগালাজ করি নাই- এই দাবি কেউই করি না। কিন্তু এ অশ্লীলতার ভাষা আমরা জানতাম না। আমাদের মানসিক হ্যারাসমেন্টের বিচার আজকে আপনাদের সবার কাছে করে গেলাম। পুরোটা সময় নাফিজ ইমতিয়াজ ভাই "নাটক" উপভোগ করসেন৷ এবং কিভাবে এক আপু নাচার সময় তার শরীরের বিবরণ দিচ্ছিলেন এবং বাকিরা সে আলোচনায় অংশগ্রহণ করছিলেন। অনেককেই কান ধরে এক-দুই ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিলো। ফজরের আজান পর্যন্ত চলে এই অত্যাচার। রনি তার বোনের সাথে থাকে৷ নাফিজ ইমতিয়াজ ভাই রনির আপু-দুলাভাই কে নিয়েও বাজে মন্তব্য করছিলেন। এনারাই আবার পোস্ট দিচ্ছে এখন আবরার হত্যা নিয়ে। অনেক প্রিয় ভাই ছিলো ওইদিন ওখানে- সবাই দেখলো কেউ কিছু বললো না। তারাও সমান অপরাধী জুনিয়র দের কাছে। আর নাফিজ ইমতিয়াজ ভাইয়ের কথা বাদ- ই দিলাম। বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ১. উপরে নাম লেখা সবার সাথেই আমাদের কথা হয়। অনেকেই হয়তো মজার জন্যেই অথবা পরিস্থিতির চাপে উক্ত ঘটনায় অংশ নিয়েছেন৷ কারো উপরেই আমাদের ক্ষোভ নাই। শুধুমাত্র সে রাতের কথা আমার মনে হয় এসময় সবার জানার অধিকার আছে-একারণেই জানানো। কারণ এরকম দুঃসময়ে পুরনো পাপে অংশ নেয়া কেউ যেনো নিজেদের সাধু দেখাতে না পারে। ২. আর ১৭ এর কারো যদি মনে ১৬ এর করা কোন কাজ নিয়ে নিজেদের মনে কষ্ট থেকে থাকে, ফিল ফ্রি টু শেয়ার। তবে একটা কথা দাবি নিয়ে বলতে পারি, জুনিয়র পেটানোর মত হীন চিন্তা করি নাই, হতে দেইও নাই। প্রশ্ন থাকতে পারে কেন এসব এখন বলা হচ্ছে। ব্যাচের পর ব্যাচ সিনিয়র জুনিয়র বন্ডিং তৈরির নামে যে র্যাগের কালচার তৈরি করা হয়েছে, জুনিয়রদের পেটানো, ভরা ক্লাশ রুমে গালাগালি করে সো কল্ড "ম্যানার" শেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, জুনিয়রদের বলছি, ট্রাস্ট আস, এসবে আসলে দূরত্ব তৈরি হয় শুধু। ওইদিনের রাতের ঘটনার জন্যে ব্যাচের অনেকেই আমাদের সিনিয়রদের জাজ করি। সিনিয়র এর কোন কাজে জুনিয়রদের লাইফে যখন পজিটিভ ইম্পেক্ট নির্যাতনকারীদের ফেবু লিংকঃ https://www.facebook.com/dhumketuzd1 https://www.facebook.com/sanjeeb.h.depto https://www.facebook.com/tanvir.rahman.92754397 https://www.facebook.com/likhon042 https://www.facebook.com/profile.php?id=100011947176490 https://www.facebook.com/sowmik40 https://www.facebook.com/jawaad.zulqernine https://www.facebook.com/saroar043